কিভাবে বাড়াবেন আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ড ভ্যালু

 

কিভাবে বাড়াবেন আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ড ভ্যালু



অনলাইনে বিজনেস করবেন বলে ঠিক করেছেন, এখন শুধু একটা ফেসবুক পেজ খুলে সেটাতে কিছু পোস্ট করে বুস্টিং করা আর সেলের আশা করা এটা খুব বুদ্ধিমানের কাজ না।
এরকম করে সেল করলে আপনি হয়তো স্বল্প সময়ের জন্য টিকে থাকতে পারবেন কিন্তু দীর্ঘসময়ের জন্য নয়, সে জন্য দরকার ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রতিষ্ঠিত করা।
আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ড ভ্যালু প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা করতে পারেন
১. নিজের দক্ষতা তুলে ধরুন
যদিও এই ব্যাপার সব প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসে করা যায় না তারপরও যতটুকু সম্ভব আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতাকে আপনি যে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস নিয়ে কাজ করছেন সেটা সম্পর্কে আপনি জানেন সেটা ক্রেতার কাছে প্রমান করাটা জরুরি।
এটা মূলত সার্ভিস ভিত্তিক বিজনেসের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে এবং কিছু কিছু প্রোডাক্টের খেত্রেও। কিছু উদাহারন দিচ্ছি
  • আপনি আইটি বিজনেস করছেন, তাহলে সেখানে শুধু সেল পোস্ট না দিয়ে আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন টিপস, উপকারি পোস্ট দিতে পারেন, আপনি হয়তো গ্রাফিক ডিজাইনের সার্ভিস দেন কিন্তু সেটা আপনার ক্রেতা কেন নিবে, নিলে তার কি লাভ, কিভাবে নিলে ভালো হবে এগুলি তুলে না ধরলে ক্রেতা বুঝবেও না, আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট কিনবেও না।
  • আপনি দেশের বাইরে থেকে প্রোডাক্ট আনছেন, কন্টেন্টে লিখে দিচ্ছেন উমুক দেশের প্রডাক্ট এতে খুব লাভ হবে না, আপনি লিখে দিচ্ছেন উমুক দেশের প্রোডাক্ট কিন্তু আসলেই সেটা কতটুকু সত্য সেটার উপর ক্রেতার সন্দেহ থেকেই যায়, তাই আপনাকে এখানে প্রমান দিতে হবে, হতে পারে যেখান থেকে প্রোডাক্ট আনছেন সেখান থেকে লাইভে আসা, শপিং মল অথবা দোকানের সাইনবোর্ড এর ছবি যেখানে সে দেশের নাম ঠিকানা লেখা থাকবে সেরকম ছবি পোস্ট করা, বাংলাদেশে যখন প্রোডাক্ট আসলো সেই প্যাকেজিংসহ প্রোডাক্ট এর ছবি আপলোড দেয়া, এগুলা সবই আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে।
  • অরাগানিক ফুড বিক্রি করছেন সেখানেও আপনাকে প্রমান দিতে হবে, মধু, বলছেন সুন্দরবনের, আসলেই সেটা কিনা সেটা আপনার কাস্টোমারকে বিভিন্নভাবে দেখাতে হবে যাতে কাস্টোমারের মনে কোন সন্দেহ না থাকে।
এই ব্যাপারগুলো চলমান প্রক্রিয়া, একবার দুইবার করলেন হয়ে গেলো ব্যাপারটা এমন না, করতে করতে এক সময় দেখবেন এটার উপকারিতা।


২. বিভিন্ন ভাবে আপনার ক্রেতাকে হেল্প করুন
আপনার যদি ট্রেনিং সেন্টার হয় আপনি বিভিন্ন ফ্রি ই বুক, বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স, টিউটোরিয়াল দিয়ে সাম্ভাব্য ক্রেতাকে হেল্প করতে পারেন, এর মাধ্যমে ক্রেতা বুঝতে পারবে আপনার স্কিল কোন লেভেলের।
আপনার যদি উইমেন সম্পর্কিত প্রোডাক্ট হয় তাহলে মেয়েদের বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে লেখা, ভিডিও পোস্ট করতে পারেন, সেটা হতে পারে রূপচর্চা নিয়ে, হতে পারে বাচ্চাদের নিয়ে, হতে পারে অন্য কোন সমস্যার সমাধান নিয়ে, এতে দুই রকম ভাবে আপনি উপকার পাবেন, এক কাস্টোমারের আপনার উপর বিশ্বাস তৈরি হবে, দুই এই ধরনের পোস্টে অনেক কমেন্ট এবং শেয়ার হয় যা কিনা ফেসবুকে র্যাঙ্কিং উপরের দিকে নিতে সাহায্য করে।


৩. প্রোডাক্টের মান, ফটোগ্রাফির মান, কাস্টোমার কেয়ার সার্ভিস এর মান বাড়ানোর বিকল্প নেই
আপনি বিভিন্ন এঙ্গেজমেন্ট পোস্ট করে ক্রেতার মন জয় করলেন কিন্তু প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের মান হলো খারাপ, অথবা যা বললেন সেটা দিলেন না তাহলে উপরে তিল তিল করে তৈরি করা বিশ্বাসের ঘর এক মুহূর্তে ভেঙ্গে পরবে, তাই প্রোডক্টের মান অবশ্যই ভালো হতে হবে, আপনি আপনার কাস্টোমারকে যা বলছেন সেটাই দিতে হবে এর কোন বিকল্প নেই।
অনলাইনে মানুষ কিনেই থাকে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে, ছবি অথবা ভিডিও দেখে তাই প্রোডাক্টের ছবি অথবা ভিডিও এমনভাবে করুন যেন যা দেখাচ্ছেন সেটাই কাস্টোমার পায়।
একই সাথে কাস্টোমার কেয়ারের সার্ভিস দিনে দিনে যত উন্নত করা যায় ততই মঙ্গল।
আশা করি উপরের টিপস আপনাদের কিছুটা হলেও উপকৃত করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ