অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে ১০ টি ধাপ অনুসরণ করুন

অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে ১০ টি  ধাপ অনুসরণ করুন

অনলাইন ব্যবসা সাফল্য পেতে আমাদের বেশ কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। যে সকল ধাপগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যবসা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি। ব্যবসা করে সাফল্য পাওয়ার জন্য যে সকল মানুষগুলো অনলাইন ব্যবসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকে আমাদেরকে আর্টিকেল। চলুন দেখে নেয়া যাক উপরে উল্লেখিত বিষয়ের সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে দশটি  ধাপ অনুসরণ করুন

অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেলে দশটি ধাপ অনুসরণ করতে পারেন। সকল তাকেই আপনাকে অতিক্রম করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এই সকল ধামগুলো অনুসরণ করলে আপনি আপনার ব্যবসার অন্য কেউ করে তার পাশাপাশি আপনি খুব স্বল্প সময়ের মাধ্যমে ব্যবসা গুছিয়ে নিতে পারবেন। যে কারণে মূলত আপনাদের জানা উচিত এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে।

১. পরিকল্পনা

সর্বপ্রথম আপনারা পরিকল্পনা করুন যে আপনি কেমন ধরনের ব্যবসা করতে চান। আপনি কোন ব্যবসার ক্ষেত্রে কতটুকু সময় দেবেন সেটি ও পরিকল্পনা করে নিন। আপনি যত বেশি সময় আপনার ব্যবসার পেছনে দিতে পারবেন আপনার উন্নতি ততো দ্রুত হবে। সর্বপ্রথম আপনি আপনার ব্যবসার লক্ষ্য, পাবলিসিটি, পণ্য এবং পরিষেবার বর্ণনা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করুন।

২. নাম নির্বাচন

ব্যবসা করার পূর্বে অবশ্যই ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের নাম নির্বাচন করা জরুরী। নামের উপর নির্ভর করেও অনেক বেশি সেল করা সম্ভব হয়ে থাকে। আপনি ব্যবসা করার পূর্বে আপনি কেমন ধরনের ব্যবস্থা করতে চান সেটি নির্বাচন করার পাশাপাশি আপনার ব্যবসার স্থানের এবং ব্যবসার নাম নির্বাচন করুন।

৩. লক্ষণ নির্ধারণ করা

অবশ্যই ব্যবসা করার পূর্বে আপনার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। তাহলে আপনি খুব দ্রুত সময়ে উন্নতির ছোঁয়া পাবেন। অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য নির্ধারিত করুন আপনি কি লক্ষ্য অর্জন করতে চান। তারপরে আপনারা উদ্যোগের একটি প্রতিফলন হিসেবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিশাই চলতে সাহায্য করবে। উপযুক্ত লক্ষ্য গুলো হলোঃ- যেমন, মানসিকতার সঙ্গে মিল দেখে কাজ করা। যেকোনো কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখা ইত্যাদি।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন শুরু করুন

ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ব্যবসার উজ্জ্বলতা এবং বিক্রয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হয়েছে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাবে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম প্রয়োজনীয় জিনিস অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় এবং বিক্রয় করে থাকি। এগুলো সবগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতাভুক্ত। ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মে আমরা আমাদের ব্যবসা সংক্রান্ত সকল তথ্য খুব সহজেই প্রচার করতে পারি।

সেগুলো হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, ওয়েব বিজ্ঞাপন, সার্চ ইঞ্জিন, অপটিমাইজেশন ইত্যাদি। এই মার্কেটিং প্লাটফর্ম গুলি ব্যবহার করে আমরা আমাদের সকল পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরতে পারি এবং সে পণ্যগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করতে পারি। তার পাশাপাশি আমরা আমাদের ব্র্যান্ড সম্পর্কে ও উল্লেখ করতে পারি। এভাবে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাহায্য নিয়ে আমাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি এবং ব্যবসা পদ্ধতি প্রসার করতে পারি।

৫. পাবলিসিটি নির্বাচন করা

অনলাইনে ব্যবসা করার মূলে রয়েছে পাবলিসিটি। আপনারা পাবলিসিটি এর মাধ্যমে আপনারা ব্যবসার চাহিদা সমূহ কি সামর্থ প্রদান করতে পারবেন। আপনি শুনেছি তো হতে পারবেন যে আপনার গ্রাহকরা কেমন ধরনের প্রোডাক্ট চাই আপনার গ্রাহকদের চাহিদা কেমন। তাদের সামর্থ্য কেমন বিভিন্ন জিনিস কেনার ক্ষেত্রে ইত্যাদি বিষয় গুলো।

আপনি যে পাবলিসি গুলো নির্বাচন করবেন সেগুলো আপনার ব্যবসার চাহিদার সাথে মিলে গেলে আপনি খুবই অল্প সময়ে ব্যবসায়ে লাভ করতে পারবেন। প্রধান স্বরূপ আমরা বলতে পারি, ধরুন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেছেন তাহলে আপনি অ্যামাজনের সংশ্লিষ্ট পাবলিসিটি ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবেই আপনারা আপনাদের পাবলিসিটি নির্বাচন করবেন।

৬. গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নয়ন

আপনি ইতিমধ্যে যে ব্যবসাটি করবেন বলে ভেবে নিয়েছেন অবশ্যই সেই ব্যবসাটিতে গ্রাহকদের সার্ভিস উন্নত ভাবে প্রদান করবেন। সে ক্ষেত্রে গ্রাহকরা আপনার ওয়েবসাইট বা অন্যান্য যে কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এর ওপর বিশ্বস্ত হতে পারবে। আপনারা যে সকল স্থানের যোগাযোগ নাম্বার ব্যবহার করবেন সেই যোগাযোগ নাম্বার গুলো অবশ্যই সাহায্যকারী একটি নাম্বার হতে হবে।

যেন তারা কল দিয়ে আপনার কাছ থেকে সেই সম্পর্কে আসল তথ্যগুলো নিতে পারেন। অনেকে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনার প্রোডাক্ট কিনতে এসে সেই সকল সমস্যার প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম হতে হবে। আপনি চাইলে গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য অনলাইনে একটি চ্যাট বা সাপোর্ট পদ্ধতি চালু করতে পারেন।

৭. ব্যান্ড স্থাপন করা

আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন যে আপনি যে ব্যবসাটি করবেন সেই ব্যবসার ব্র্যান্ডকে সম্ভবত সাধারণ থেকে আলাদা করার। আপনারা ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আপনার ব্যবসায়ের একটি আদর্শ ছবি তুলে ধরতে পারেন। তার পাশাপাশি আপনারা গ্রাহকরা যেন আপনার ফ্রেন্ডকে মনে রাখে সেই কারণে একটি বিশেষ পরিচিতি সৃষ্টি করতে পারেন। এটা হতে পারে আপনার ব্যান্ডের রং, লোগো , ট্যাগলাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।

৮. গ্রাহকদের মতামত প্রকাশ

আপনার ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মতামত অত্যন্ত জরুরী। গ্রাহকরা যে মতামত প্রকাশ করবেন তা আপনার জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। আপনি তাদের কাছ থেকে আপনার ব্র্যান্ড এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ উভয় তথ্যই পাবেন। সে থেকে আপনি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারবেন।

অনলাইন ব্যবসায় সাফল্য পেতে ১০ টি  ধাপ অনুসরণ করুন

৯. আইনি নিবন্ধন

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য নিবন্ধন করা অত্যাবশ্যক হতে পারে। তবে এটি আপনাদের বসতভিটার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বা ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রয় করতে চান তাহলে আপনার নিবন্ধন করার প্রয়োজন হবে। যেমন, Amazon. এবেসি ইত্যাদি। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন রকম ভাবে নিবন্ধন করতে পারেন।

এই সকল মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনি ক্রয় বিক্রয় করতে চাইলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। অতঃপর আপনারা সেখানে আপনার পণ্যের বিবরণ, দাম, ইত্যাদি উল্লেখ করে পেমেন্ট পদ্ধতি শিবেন তথ্য প্রদান করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনারা ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

১০. সকল বিষয় নিয়ে চিন্তা করা

আপনি যেহেতু অনলাইনে ব্যবসা করবেন সুতরাং আপনার মেধা অত্যন্ত সফট রাখতে হবে। কারণ আপনাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে হতে পারে। আপনি কাস্টমারদের প্রোডাক্ট নেওয়া তাদের রিভিউ দেওয়ার উপর নির্ভর করে পরবর্তীতে কি করা যায় তা নিয়ে পূর্ব থেকে ভেবে রাখবেন।

আপনার পণ্যের প্রতি কাস্টোমারদের কিভাবে আকৃষ্ট করবেন এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে ইউনিক চিন্তা করতে হবে। আরো অন্যান্য বিষয়ে কাস্টমারদের সুযোগ সুবিধা ও প্রদান করতে হবে। যেন তারা আপনার ওয়েবসাইট বা আপনার প্ল্যাটফর্ম থেকে বিভিন্ন জিনিস কিনে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তাহলে আপনি আপনার ব্যবসায়ী খুবই সহজে সফল হতে পারবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ