ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন
কমার্স ব্যবসা শুরু করতে একটি গাইডলাইন অনুসরণ করা উপকারী হতে পারে। ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক রকম গাইডলাইন রয়েছে। অনেক গাইডলাইন গুলোর মধ্য থেকে আমরা নিচে কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য কিছু পদক্ষেপ সহ
বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-ব্যবসা
আইডিয়া তৈরি করুন
প্রথমেই
আপনার যে কোনো ব্যবসা
আইডিয়া চিন্তা করুন। প্রয়োজনে আপনি আপনার নিজস্ব অবস্থানের মার্কেট নিয়ে গবেষণা করতে পারেন বা আপনার অভিজ্ঞতার
উপর নির্ভর করতে পারেন। ব্যবসা আইডিয়া করতে অবশ্যই আপনারা ভুল করবেন না। ভেবে চিন্তে সময় নিয়ে কোন বিষয়ের উপর আপনি ব্যবসা করতে চান তা নির্বাচন করুন।ব্যবসায়িক
পরিকল্পনা
ব্যবসা
পরিচালনার একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন যেটি আপনার ব্যবসার লক্ষ্য, পণ্য বা পরিষেবার বর্ণনা,
মার্কেটিং পরিকল্পনা, আর্থিক পরিচালনা, সংগঠনাগত পরিচালনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, ইত্যাদি নির্দেশ করবে। ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পরিকল্পনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে বা তৈরি করতে
হবে। আপনার পরিকল্পনাকে যদি কোন রকম সমস্যা থাকে তাহলে আপনি তা দ্রুত সমাধান
করে নেন। এবং সঠিক রূপে ব্যবসা পরিচালনা করুন।ব্যবসায়িক
নাম বা
ঠিকানা
একটি
ব্যবসায়িক নাম চিন্তা করুন যা আপনার ব্যবসার
সঠিকতা ও পেশাদারী মনোভাব
প্রকাশ করে। যেহেতু আপনারা ই-কমার্সের
সাহায্য নিয়ে ব্যবসা করবেন সুতরাং আপনাদের ব্যবসায়ীক নাম্বার ঠিকানা নির্বাচন করা উচিত। আপনি যে নামটি ব্যবসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন যেন সেই নামটি একটি পেশাদারী মনোভাব প্রকাশ করে এবং আকর্ষণীয় হয়।ব্যবসায়ের
নিবন্ধন করুন
আপনার
ব্যবসার নাম এবং ধরনের উপযুক্ত করে ব্যবসায় নিবন্ধিত হওয়া প্রয়োজন। আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক নিবন্ধন করতে আপনার স্থানীয় কমিশন বা প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের
সাথে যোগাযোগ করুন।আর্থিক
পরিকল্পনা
আপনার
ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পূঁজিবহনের একটি আর্থিক পরিকল্পনা তৈরি করুন। এটি আপনার উদ্যোগের আকার, আপনার নিজের মূল্যায়ন করে। আপনি যে পরিমাণ পূঁজি
সংগ্রহ করতে পারবেন আপনার ব্যবসার জন্য আপনি ততই
দ্রুত ব্যবসা পরিকল্পনা এর সাথে সাথে
ব্যবসার উন্নতি করতে পারবেন।ব্যবসায়িক
পরিকল্পনা করুন
একটি
ব্যবসায়িক পরিকল্পনা তৈরি করুন যেটি আপনার ব্যবসার উদ্দেশ্য, স্বর্ণমূল নীতিমালা, মার্কেটিং পরিকল্পনা, সংগঠনাগত পরিচালনা, আর্থিক পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম, ইত্যাদি পরিবর্তনের একটি পরিকল্পনা গড়ে তুলবে। এটি ব্যবসায়ের দিকে আপনাকে গাইড করবে এবং নির্দিষ্ট ধাপগুলি পরিপন্থী করবে। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা সঠিকভাবে করতে পারলে অবশ্যই আপনি খুব সহজেই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।আপনার
লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করুন
আপনার
ব্যবসার সাক্ষাৎকার, আর্থিক লাভ, বাজারে প্রতিস্থাপন ইত্যাদি যে লক্ষ্যগুলি আপনি
প্রাপ্ত করতে চান তা নির্ধারণ করুন।
স্পষ্ট লক্ষ্যগুলি আপনাকে নির্দিষ্ট দিকে অগ্রসর করবে এবং ব্যবসার পরিকল্পনা করার সময় সাহায্য করবে। লক্ষ্য অনুযায়ী যেকোনো কাজ করলে সেই কাজে
দ্রুত সফলতা অর্জন করা সম্ভব। যে কারণে আমাদের
সকলকে ব্যবসা করার পূর্বে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। তাহলে আমরা খুব দ্রুত সময়ে লাভবান এবং ব্যবসায়ী উন্নতি করতে পারবো।মার্কেটিং
পরিকল্পনা
ব্যবসা
পরিচালনার জন্য একটি মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করুন। এটি আপনার পণ্য বা পরিষেবার মার্কেট
বিশ্লেষণ, লক্ষ্যমাত্রা, প্রচার এবং বিপণন করার উপায়, মার্কেটিং মাধ্যম, গ্রাহক চূড়ান্ত রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি নির্দেশ করবে। ব্যবসা বিস্তৃতি করার জন্য অবশ্যই মার্কেটিং পরিকল্পনার প্রয়োজন।আপনি যত বেশি যোগাযোগ মাধ্যম এবং অন্যান্য মাধ্যম উন্নত করতে পারবেন আপনার মার্কেটিং তত বৃদ্ধি পেতে থাকবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান সেই বিষয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং সেই সংক্রান্ত তথ্যগুলো জানুন। তাহলে আপনি পূর্ব থেকে বুঝতে পারবেন যে গ্রাহকদের চাহিদা কি এবং মার্কেটপ্লেসগুলো থেকে গ্রাহকরা কি চাই।
গ্রাহক
সেবা পরিচালনা
আপনার
ব্যবসার জন্য গ্রাহকদের সেবা প্রদান করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন। গ্রাহকদের সন্তুষ্টি এবং উন্নতি নিশ্চিত করতে আপনি উন্নত গ্রাহক সেবা
প্রদান করবেন। গ্রাহকদের সঠিকভাবে সেবা প্রদান করতে না পারলে আপনি
গ্রাহক হারাবেন। যেটাতে আপনার ব্যবসার ক্ষতি হবে। সুতরাং আপনি ব্যবসা করার পূর্বেই গ্রাহক সেবা পরিচালনার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন।ই-কমার্স ব্যবসা কি
ই-কমার্স ব্যবসা হলো ইলেক্ট্রনিক কমার্স বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে
পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি
এবং ক্রয় করার ব্যবসায়িক পদ্ধতি। এটি একটি ডিজিটাল ব্যবসায়িক মডেল, যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য বা পরিষেবা ইন্টারনেটের
মাধ্যমে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করে এবং গ্রাহকরা তাদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে সরাসরি ক্রয় করতে পারেন।ই-কমার্স ব্যবসা সাধারণত একটি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে চালানো হয়, যেখানে কর্মীদের পণ্যের বিবরণ, মূল্য, সংযোগস্থল, গ্রাহকের প্রয়োজনীয় তথ্য ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। গ্রাহকরা এই প্ল্যাটফর্মে ব্রাউজ করে পণ্য বা পরিষেবা নির্বাচন করতে পারেন, কার্টে পণ্য যোগ করতে পারেন এবং সরাসরি অর্ডার দিয়ে পেমেন্ট করতে পারেন। এভাবেই ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা যায়। বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসা বাংলাদেশে অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে ই-কমার্স অনেক বেশি এগিয়ে যাবে।
ই-কমার্স ব্যবসা
কত প্রকার
ই-কমার্স ব্যবসা
কত প্রকার তার নির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না। ই-কমার্স ব্যবসা
বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। তার মধ্যে থেকে কিছু প্রকার
নিম্নে উল্লেখ করা হলো।- বিক্রয় প্ল্যাটফর্মঃ- এই প্রকার ই-কমার্স ব্যবসা হলো একটি প্রতিষ্ঠান যা তাদের প্রোডাক্ট বা সেবা অনলাইনে বিক্রয় করে। উদাহরণস্বরূপ, ই-কমার্স ওয়েবসাইট বা অ্যাপস যেমন আমাজন, ইবে, ফ্লিপকার্ট ইত্যাদি। এই সকল প্লাটফর্ম গুলো ছাড়াও আরো অনেক প্লাটফর্ম হয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা করা সম্ভব।
- মার্কেটপ্লেসঃ-
মার্কেটপ্লেস হলো একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন বিক্রেতা ও ক্রেতা মিলে
একত্রে আসে এবং পণ্য বিক্রি করে বা ক্রয় করে।
উদাহরণস্বরূপ, ইবে, আলিবাবা, ইয়ুনিক্লোথ ইত্যাদি মার্কেটপ্লেস হিসাবে পরিচিত। এই সকল মার্কেটপ্লেস গুলো অত্যন্ত পরিচিত। ই-কমার্সের বাস্তব
নিদর্শন এগুলো। আপনি যদি ই- কমার্সে ভাল
একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান তবে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
- সাম্প্রতিক
ডিজিটাল ব্যবসাঃ- এই প্রকার ই-কমার্স ব্যবসা হলো নতুনত্বপূর্ণ বিক্রয় পদ্ধতির ব্যবহার, যেখানে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম চালানো হয় যা কোনো নতুন
বিক্রয় পদ্ধতি প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, সাম্প্রতিক ডিজিটাল ব্যবসা উদাহরণ হিসাবে কর্পোরেট স্পন্সরশিপ বা পণ্য পরীক্ষা
মাধ্যমে ক্রয় করার সুযোগ প্রদান করে এবং ব্র্যান্ড পরিচালনা সহজ করে।
- সেবা
বিক্রয়ঃ- এই প্রকার ই-কমার্স ব্যবসা হলো সেবা প্রদানের মাধ্যমে আয় উপার্জন করা। উদাহরণস্বরূপ, ডিজিটাল ডাউনলোড, অনলাইন কোর্স, ওয়েব হোস্টিং, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সেবা ইত্যাদি। এছাড়া আরো অনেক উপকার সেবা প্রদানের মাধ্যম রয়েছে। যে সকল মাধ্যমগুলো
থেকে অর্থ
উপার্জন করা সম্ভব।
- সামগ্রিক ই-কমার্সঃ- সামগ্রিক ই-কমার্স হলো মালামালের বিভিন্ন বিক্রয় পদ্ধতির সংযোগে একটি পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট পরিচালনা করা। এই প্রকার ব্যবসায় পণ্য বিক্রি, মার্কেটপ্লেস মডেল, সেবা বিক্রি ইত্যাদি সমন্বয় করে চালিত হয়।
ই-কমার্স ব্যবসা
কিভাবে শুরু করবেন
ই-কমার্স ব্যবসা
শুরু করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়। তাছাড়া ব্যবসা হঠাৎ করে শুরু করলে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখ করেছি যে ই-কমার্স
ব্যবসা শুরু করার গাইড
লাইন সম্পর্কে।
উক্ত গাইডলাইনগুলো ফলো করে
আপনারা ইকমার্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ই-কমার্স ব্যবসা
করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।উপরে
যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে আপনি যদি সেই সকল বিষয়গুলোর উপর দক্ষ থাকেন এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন। তবে আপনি খুব সহজেই ই-কমার্স ব্যবসা
শুরু করতে পারবেন এবং ব্যবসায়ী উন্নতি
লাভ করতে পারবেন।
আরো জানতে ভিজিট করুন
0 মন্তব্যসমূহ